About Me:

I am Md. Muklesur Rahman. I am a blind but able to do all. I want to do many thing for the blind people so that they can contribute for the world. To do this I need help from all and expect some help from the visitors of my blog. You can donate, advice whatever you want. If you are more interested about me, you can read my own novels, poems and stories from this site.dddddddddddddddddddddd but
print this page

get your account with payza

0 comments

Earn money from payza

0 comments

sign up to payza

0 comments

Donate for the disabled people of Bangladesh


0 comments

Earn money from online completing some simple tasks

0 comments

A short summary of Bounce by Md. Muklesur Rahman



This is a novel written by Md. Muklesur Rahman, a Bangladeshi blind writer. The book contains 51 pages but some of pages are free for all readers. The main characters of the novel are Koushik, Shikhar, Faria and Ferdusi. Koushik, a Bangladeshi blind starts his graduation from a public university. But at the time of his study he introduces with a girl named Ferdusi. As in Bangladesh, a blind has no scope to get text book, he is to depend on other for his study. However, Ferdusi is from a poor family took Koushik as an arm of her financial support and decided to complete her study by Koushik's cost. Koushik falls in love with her and Ferdusi finds an easy way to fulfill her desire. When they fall deeply for one each other, they start living together. But Koushik wants to prove his love pure and wins her heart for marriage. So, he never tries for any sexual relation with her. When Koushik notices that he is to carry on her all living costs, he expresses his desire to marry her. But the selfish girl does not agree to marry him for being blind. Rather, she insults him severely and tortures him seriously. To get rid of her torture, Koushik runs madly and makes an accident with a track. A foreign lady takes him into hospital and by the grace of almighty he gets back his eyes.
Then Koushik paints Ferdusi from his imagination and decides to compare his imagination by seeing her for once. But at this time, Ferdusi changes her house and nobody can say about them. At the time of death, the foreign lady gives her daughter Faria to take care off as Koushik's own daughter. When Faria grows up, Koushik wants to know how his daughter will treat a blind if he loves her.
In meantime, at the way of university's campus, Faria observs a blind who is walking alone and nobody come to help. While he is to face an accident with a rikshawa, she holds his hand and goes for his department. Some of her friends starts insulting her for holding a blind's hand. This very incident bounds her to love him. Koushik knowing this, started testing his daughter's intention by insulting Shikhar using some unpleasant words. Finally, when Koushik understands that Faria really loves Shikhar, he goes for market in order to complete  his daughter's marriage.
After finishing market, Koushik suddenly heards Ferdusi's voice and knew that Shikhar is her son and for being blind she throughs him in a paddy field. After this, Koushik dies by heard attack and Ferdusi goes to Shikhar for forgiveness. But when Shikhar refuses to forgive her, she decides to pick up her eyes. Latter, Shikhar informs her it will just increase a blind on earth but will not be able to reduce the pain of Shikhar and Koushik. Rather if she should utilize her eyes to those people who has no eyes or parents, perhaps this will reduce their pain and after world she will be forgiven. Then She goes back crying, where is media, give a message to all women so that they never play with a blind's love. May be the Almighty will send a blind son to her womb as revenge.
However, after reading this novel I expect some financial help from my readers. At list, I can hope you will buy a copy from the author. Payment can be via Bikash or Payza. The author's Payza account is: muklesju@gmail.com and Bikash account is 01917662548.


0 comments

A short summary of Bounce by Md. Muklesur Rahman

dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
0 comments

Bounce by Md. Muklesur Rahman, a Bangladeshi blind writer


0 comments

Take Preparation for B.C.S Bengali Literature

কি বন্ধুরা তোমরা কি আহসান হাবিবের কথা মনে করতে পারো?
হ্যা, আমি তোমাদের সেই চীর চেনা কবিতার লেখক আহসান হাবিবের কথায় বলছি। মনারে মনা কোথা যাস?
তবে আজ আমি মনারে মনা কবিতা নিয়ে কিছুই বলবো না। বরং বিসিএসে আহসান হাবিবের যে বিষয়গোলো থাকতে পারে বলে মনে করছি ঠিক সেগুলোই বলার চেষ্টা করবো।



আহসান হাবীব ১৯১৭ থেকে ১৯৮৫ (কবি)

জন্ম ও শিক্ষাজীবন


আহসান হাবীবের জন্ম ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি পিরোজপুরের শংকরপাশা গ্রামে ৷ পিতার নাম হামিজুদ্দীন হাওলাদার। মাতা জমিলা খাতুন। তাঁর পাঁচ ভাই ও চার বোন ৷ অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল পিতা- মাতার প্রথম সন্তান তিনি ৷ পারিবারিকভাবে আহসান হাবীব সাহিত্য সংস্কৃতির আবহের মধ্যে বড় হয়েছেন। সেই সূত্রে বাল্যকাল থেকেই লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। সেইসময় তাঁর বাড়িতে ছিল আধুনিক সাহিত্যের বইপত্র ও কিছু পুঁথি। যেমন আনোয়ারা, মনোয়ারা, মিলন মন্দির প্রভৃতি ৷ এসব পড়তে পড়তে একসময় নিজেই কিছু লেখার তাগিদ অনুভব করেন। সাহিত্যের অনুকূল পরিবেশ নিয়ে পিরোজপুর গভর্নমেন্ট স্কুল থেকে ১৯৩৫ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি চলে আসেন বরিশালে৷ ভর্তি হন সেখানকার বিখ্যাত বিএম কলেজে৷ কিন্তু অর্থনৈতিক সংকটের কারণে কলেজের পড়াশোনার পাঠ শেষ পর্যন্ত অসমাপ্ত রাখতে হয় তাঁকে। বিএম কলেজে দেড় বছর পড়ার পর ১৯৩৬ সালের শেষার্ধে কাজের খোঁজে তিনি রাজধানী কলকাতায় পাড়ি জমান৷ এভাবেই কবি আহসান হাবীবের বরিশাল থেকে তৎকালীন রাজধানী কলকাতায় পদার্পণ।
কর্ম ও ব্যক্তিগত জীবন


আহসান হাবীব ১৯৪৭ সালের ২১ জুন বিয়ে করেন বগুড়া শহরের কাটনারপাড়া নিবাসী মহসীন আলী মিয়ার কন্যা সুফিয়া খাতুনকে। আহসান হাবীব দুই কন্যা (কেয়া চৌধুরী ও জোহরা নাসরীন) ও দুই পুত্রের (মঈনুল আহসান সাবের ও মনজুরুল আহসান জাবের) জনক ছিলেন। পুত্র মঈনুল আহসান সাবের একজন স্বনামখ্যাত বাংলা ঔপন্যাসিক।
১২/১৩ বছর বয়সে স্কুলে পড়ার সময়ই ১৯৩৩ সালে স্কুল ম্যাগাজিনে তাঁর একটি প্রবন্ধ ধরম প্রকাশিত হয় ৷ ১৯৩৪ সালে তাঁর প্রথম কবিতা মায়ের কবর পাড়ে কিশোর পিরোজপুর গভর্নমেন্ট স্কুল ম্যাগাজিনে ছাপা হয় ৷ পরবর্তী সময়ে ছাত্রাবস্থায় কলকাতার কয়েকটি সাহিত্য পত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হলে নিজের সম্পর্কে আস্থা বেড়ে যায়। স্কুলে পড়াকালীন তিনি প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তুকে কবিতায় উপস্থাপিত করে পুরস্কৃত হয়েছিলেন। ততদিনে অবশ্য দেশ, মোহাম্মদী, বিচিত্রার মতো নামি দামী পত্রপত্রিকায় তাঁর বেশ কিছু লেখা প্রকাশিত হয়ে গেছে ৷ কলকাতা গিয়ে শুরু হয় আহসান হাবীবের সংগ্রামমুখর জীবনের পথচলা৷ তিনি কলকাতায় এসে ১৯৩৭ সালে দৈনিক তকবির পত্রিকার সহ-সম্পাদকের কাজে নিযুক্ত হন । [২] বেতন মাত্র ১৭ টাকা৷ পরবর্তীকালে তিনি ১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত কলকাতার বুলবুল পত্রিকা ও ১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত মাসিক সওগাত পত্রিকায় কাজ করেন ৷ এছাড়া তিনি আকাশবাণীতে কলকাতা কেন্দ্রের স্টাফ আর্টিস্ট পদে ১৯৪৩ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত কাজ করেন ৷

মৃত্যু


১৯৮৫ সালের ১০ জুলাই আহসান হাবীব মৃত্যুবরণ করেন।
রচনাবলি

কাব্যগ্রন্থ, বড়দের উপন্যাস, গল্প, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, ছোটদের ছড়া ও কবিতার বই সব মিলিয়ে আহসান হাবীবের বইয়ের সংখ্যা ২৫টি।
কবিতা

রাত্রিশেষ (১৯৪৮)
ছায়াহরিণ (১৯৬২)
সারা দুপুর (১৯৬৪)
আশায় বসতি (১৯৭৪)
মেঘ বলে চৈত্রে যাবো (১৯৭৬)
দু'হাতে দুই আদিম পাথর (১৯৮০)
প্রেমের কবিতা (১৯৮১)
বিদীর্ণ দর্পণে মুখ (১৯৮৫)

আহসান হাবিবের কবিতা সহজে মনে রাখার উপাই:
ছায়াহরিণ দু'হাতে দুই আদিম পাথর  নিয়ে সারা দুপুর প্রেমের কবিতা লিখল। রাত্রিশেষে তার বিদীর্ণ দর্পণে মুখ আশায় বসতি করে মেঘ বলে চৈত্রে যাবো

উপন্যাস

রাণী খালের সাঁকো (১৯৬৫)
আরণ্য নীলিমা (১৯৬২)
জাফরানী রং পায়রা

শিশু সাহিত্য[সম্পাদনা]

জোছনা রাতের গল্প
ছুটির দিন দুপুরে
বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর
রেলগাড়ি ঝমামমে
রাণীখালের সাঁকো
জোৎসনা রাতের গল্প
ছোট মামা দি গ্রেট
পাখিরা ফিরে আসে
রত্নদ্বীপ ( ট্রেজার আইল্যান্ডর সংক্ষিপ্ত অনুবাদ )
হাজীবাবা
প্রবাল দ্বীপে অভিযান ( কোরাল আইল্যান্ডর সংক্ষিপ্ত অনুবাদ )[৩]
সম্পাদিত গ্রন্থ
কাব্যলোক
বিদেশের সেরা গল্প
পুরস্কার

ইউনেস্কো সাহিত্য পুরস্কার ও একাডেমি পুরস্কার (১৯৬১)
আদমজী পুরস্কার (১৯৬৪)
নাসিরউদ্দীন স্বর্ণপদক (১৯৭৭)
একুশে পদক (১৯৭৮)
আবুল মনসুর আহমদ স্মৃতি পুরস্কার (১৯৮০)
স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার
বাংলা একাডেমি পুরস্কার

আহসান হাবিব সমন্ধে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর:


১। আহসান হাবিবের জন্ম কত সালে?
১৯১৭ সালে।
২। আহসান হাবিবের জন্ম কত তারিখে?
২রা জানুয়ারি।
৩। আহসান হাবিবের ভাই বোনের সংখ্যা  কত?
৫ ভাই ও ৪ বোন।
৪। কোন কবির জন্ম স্থান পিরুজপুরের সংকরপাশা গ্রামে?
আহসান হাবিবের।
৫। হামিজুদ্ধিন হাওলাদার কোন সাহিত্যিকের পিতা ছিলেন?
আহসান হাবিব।
৬। আহসান হাবিবের মাতার নাম কি?
জমিলা খাতুন।
৭। আহসান হাবিব কত সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশ নেন?
১৯৩৫ সালে।
৮। কত সালে আহসান হাবিব বিয়ে করেন?
১৯৪৭ সালে।
৯। আহসান হাবিবের স্ত্রীর নাম কি?
সুফিয়া খাতুন।
১০। আহসান হাবিবের শ্বশুরবাড়ি কোন জেলায়?
বগুরা জেলায়
১১। আহসান হাবিবের ছেলে মেয়ে কত জন?
২ ছেলে ও ২ মেয়ে।
১২। মঈনুল আহসান সাবের কে ছিলেন?
একজন স্বনামখ্যাত বাংলা ঔপন্যাসিক এবং আহসান হাবিবের ছেলে।
১৩। আহসান হাবিবের প্রকাশিত ১ম কবিতা কোনটি?
মায়ের কবর পাড়ে ১৯৩৪।
১৪। কোন পত্রিকায় আহসান হাবিব সহ সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন?
দৈনিক তকবির ১৯৩৭ সালে।
১৫। দৈনিক তকবির পত্রিকা ছাড়া আর কোন পত্রিকায় আহসান হাবিব কাজ করেন?
বুলবুল ও সৌগাত পত্রিকায়
১৬। আহসান হাবিবের মৃত্যু তারিখ কত?
১০ জুলাই।
১৭। আহসান হাবিবের রচিত গ্রন্থ কত?
২৫টি।
১৮। মেঘ বলে চৈত্রে যাব কোন ধরনের রচনা?
কাব্য গ্রন্থ।
১৯। রাণী খালের সাঁকো, আরণ্য নীলিমা ও জাফরানী রং পায়রা আহসান হাবিবের কি ধরনের রচনা?
উপন্যাস।
২০। বিদীর্ণ দর্পণে মুখ ও প্রেমের কবিতা আহসান হাবিবের কি ধরনের গ্রন্থ?
কাব্য গ্রন্থ।

0 comments

Let's take preparation for 37th B.C.S চল প্রস্তুতি নেই ৩৭তম বিসিএস পরিক্ষার

কি বন্ধুরা, কেমন আছ? নিশ্চয় ভাল। ভাবছ বিসিএস পরিক্ষার জন্য! কোনো ভয় নেই। নিয়মিত থাক আমার সাথে, তোমার পরিক্ষা ভাল হবার গেরান্টি দিলাম।

তবে হ্যা, শুরু করা উচিত পড়া শোনা। ঠিক তাই করব। তোমাদের সবচেয়ে বিরক্তিকর বিষয় কোনটি? জানালে কথা দিচ্ছি, সে বিষয়টির উপর বেশি জোড় দিব। আজ শুরু করছি বাংলা সাহিত্য দিয়ে কেন না আমি মনে করি আমারমত অনেকেই এ বিষয়টিকে বিরক্তির কারন মনে করে।



নিম্নের সবাই বাংলা সাহিত্যে উপন্যাসিক  হিসেবে পরিচিত:
অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়
অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত
অমর মিত্র
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
আনিসুল হক
আবু ইসহাক
আবু জাফর শামসুদ্দিন
আবুবকর সিদ্দিক
আবুল বাশার
আশাপূর্ণা দেবী
আশুতোষ মুখোপাধ্যায়
আহমেদ ছফা
ই[সম্পাদনা]
ইমদাদুল হক মিলন
ক[সম্পাদনা]
কমলকুমার মজুমদার
কালকূট
কাজী নজরুল ইসলাম
চ[সম্পাদনা]
চিত্তরঞ্জন মাইতি
জ[সম্পাদনা]
জয় গোস্বামী
ত[সম্পাদনা]
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়
তসলিমা নাসরিন
তিলোত্তমা মজুমদার
দ[সম্পাদনা]
দেবেশ রায়
দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়
দিব্যেন্দু পালিত
দুলেন্দ্র ভৌমিক
দিলারা হাশেম
ন[সম্পাদনা]
নজরুল ইসলাম (পুলিশ সাহিত্যিক)
নবারুণ ভট্টাচার্য
নাসরিন জাহান
নিমাই ভট্টাচার্য
নীহাররঞ্জন গুপ্ত
প[সম্পাদনা]
প্রফুল্ল রায়
প্রেমেন্দ্র মিত্র
ব[সম্পাদনা]
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
বুদ্ধদেব গুহ
বাণী বসু
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়
বিমল কর
বিমল মিত্র
ভ[সম্পাদনা]
ভগীরথ মিশ্র
ম[সম্পাদনা]
মতি নন্দী
মলয় রায়চৌধুরী
মহাশ্বেতা দেবী
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
মীর মশাররফ হোসেন
র[সম্পাদনা]
রমাপদ চৌধুরী
ল[সম্পাদনা]
লীলা মজুমদার
শ[সম্পাদনা]
শওকত আলী
শক্তিপদ রাজগুরু
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়
শংকর
শাহজাদ ফিরদাউস
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়
শৈলেন ঘোষ
শ্রীপারাবত
স[সম্পাদনা]
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
সতীনাথ ভাদুরী
সত্যজিৎ রায়
সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়
সমরেশ বসু
সমরেশ মজুমদার
সুচিত্রা ভট্টাচার্য
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সুবিমল বসাক
সুবিমল মিশ্র
সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়
সুবোধ ঘোষ
সেলিনা হোসেন
সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ
সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ
সৈয়দ শামসুল হক
হ[সম্পাদনা]
হর্ষ দত্ত
হুমায়ুন আজাদ
হুমায়ূন আহমেদ
হেমেন্দ্র কুমার রায়
নিম্নের সবাই বাংলা সাহিত্যে কবি হিসেবে পরিচিত:
অক্ষয়কুমার বড়াল
অক্ষয়চন্দ্র সরকার
অজিত দত্ত
অতুলপ্রসাদ সেন
অমিয় চক্রবর্তী
অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত
অরুণ মিত্র
আ[সম্পাদনা]
আজিজুর রহমান
আজিজুল হাকিম
আনোয়ার পাশা
আবদুল কাদির
আবদুল মান্নান সৈয়দ
আবদুল হাই শিকদার
আবদুল হাকিম
আবিদ আজাদ
আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
আবু হাসান শাহরিয়ার
আবুল হাসান
আবুল হোসেন
আবু হেনা মোস্তফা কামাল
আল মাহমুদ
আল মুজাহিদী
আলাউদ্দিন আল আজাদ
আলাওল
আশুতোষ চৌধুরী
আসাদ চৌধুরী
আসাদ বিন হাফিজ
আহসান হাবীব
আবিদ আনোয়ার
ই[সম্পাদনা]
ইসমাইল হোসেন সিরাজী
ঈ[সম্পাদনা]
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
ও[সম্পাদনা]
ওমর আলী
ক[সম্পাদনা]
কাহ্নপা
কাজী নজরুল ইসলাম
কাজী কাদের নেওয়াজ
কায়কোবাদ
কামাল চৌধুরী
কামিনী রায়
কালিদাস রায়
কৃত্তিবাস ওঝা
কোরেশী মাগন ঠাকুর
খ[সম্পাদনা]
খান মোহাম্মদ ফারাবী
গ[সম্পাদনা]
গগন হরকরা
গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী
গোবিন্দচন্দ্র দাস
গোলাম মোস্তফা
গৌড় অভিনন্দ
ঘ[সম্পাদনা]
ঘনরাম চক্রবর্তী
চ[সম্পাদনা]
চন্দ্রাবতী
চণ্ডীদাস
জ[সম্পাদনা]
জগদীশ গুপ্ত
জসীম উদ্দীন
জয়দেব
জয় গোস্বামী
জীবনানন্দ দাশ
জয়েন উদ্দীন
জ্ঞান দাস
জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী
ত[সম্পাদনা]
তরু দত্ত
ত্রিদিব মিত্র
তসলিমা নাসরিন
দ[সম্পাদনা]
দেবী রায়
দেবেন্দ্রনাথ সেন
দৌলত উজির বাহরাম খান
দৌলত কাজী
দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
ধ[সম্পাদনা]
ন[সম্পাদনা]
নবীনচন্দ্র সেন
নসরুল্লাহ খাঁ
নারায়ণ দেব
নির্মলেন্দু গুণ
প[সম্পাদনা]
প্রেমেন্দ্র মিত্র
ফ[সম্পাদনা]
ফকির গরীবুল্লাহ
ফজল শাহাবুদ্দীন
ফররুখ আহমদ
ফালগুনী রায়
ব[সম্পাদনা]
বন্দে আলী মিয়া
বড়ু চণ্ডীদাস
বিজয়া মুখোপাধ্যায়
বিদ্যাপতি
বিষ্ণু দে
বিহারীলাল চক্রবর্তী
বুদ্ধদেব বসু
বেলাল চৌধুরী
বিনয় মজুমদার
ভ[সম্পাদনা]
ভারতচন্দ্র, রায়গুনাকর
ম[সম্পাদনা]
মতিউল ইসলাম
মলয় রায়চৌধুরী
মহীউদ্দিন
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা
মুকুন্দ দাস
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
মুহম্মদ নুরুল হুদা
মোহাম্মদ নুরুল হুদা
মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান
মোহিতলাল মজুমদার
য[সম্পাদনা]
যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত
যতীন্দ্রমোহন বাগচী
র[সম্পাদনা]
রওশন ইজদানী
রজনীকান্ত সেন
রফিক আজাদ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রবীন্দ্র গুহ
রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়
রাধারমণ দত্ত
রামনিধি গুপ্ত
রামপ্রসাদ সেন
রাশীদুল হাসান
রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
রাম বসু
ল[সম্পাদনা]
লালন শাহ
শ[সম্পাদনা]
শক্তি চট্টোপাধ্যায়
শঙ্খ ঘোষ
শহীদ কাদরী
শাহাদাৎ হোসেন
শামসুল আলম
শামসুর রাহমান
শাহ মুহম্মদ সগীর
শিবনারায়ণ রায়
শিতালং শাহ
শেখ ভানু
শেখ মুত্তালিব
স[সম্পাদনা]
সজনীকান্ত দাস
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
সমর সেন
সমীর রায়চৌধুরী
সমুদ্র গুপ্ত
সাবিরিদ খান
সিকান্দার আবু জাফর
সুকান্ত ভট্টাচার্য
সুকুমার রায়
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সুফিয়া কামাল
সুভাষ মুখোপাধ্যায়
সেলিনা পারভীন
সৈয়দ আলী আহসান
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী
সৈয়দ সুলতান
সৈয়দ শামসুল হক
সৈয়দ শাহনুর
সৈয়দ হামজা
হ[সম্পাদনা]
হরিশ চন্দ্র মিত্র
হাসন রাজা
হাসান ফকরী
হাসান হাফিজুর রহমান
হুমায়ুন আজাদ
হুমায়ুন কবীর
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়


অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়

অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় (জন্মঃ ১৯৩৪, ঢাকা, বাংলাদেশ) একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক। তার রচিত গ্রন্থগুলো হল নীলকন্ঠ পাখির খোঁজে
অলৌকিক জলযান
ঈশ্বরের বাগান
পঞ্চযোগিনী
মানুষের ঘর বাড়ি
দেবীমহিমা
শেষ দৃশ্য
দ্বিতীয় পুরুষ
সুন্দর অপমান
দুঃস্বপ্ন
উপেক্ষা
মানুষের হাহাকার
সবুজ শ্যাওলার নীচে
সমুদ্র মানুষ
সাগরে মহাসাগরে
ঋতুসংহার
একটি জলের রেখা
নগ্ন ঈশ্বর
পুতুল
বিদেশিনী
রোদ্দুরে জ্যোৎস্নায়
নীল তিমি
ধ্বনি প্রতিধ্বনি
ফোটা পদ্মের গভীরে
গম্বুজে হাতের স্পর্শ
একালের বাংলা গল্প
সুখী রাজপুত্র
রাজা যায় বনবাসে
একজন দৈত্য একটি লাল গোলাপ
অন্নভোগ
কাপাশি
ঝিনুকের নৌকা
তুষার কুমারী
দুই ভারতবর্ষ
নদীর সঙ্গে দেখা
নারী ও পুরুষ
মধ্যযামিনী
উড়ন্ত তরবারি
গিনি রহস্য
বিন্নির খই লাল বাতাসা
নারী এবং নদীর পারে বাড়ী
একটি জলের রেখা ও ওরা তিনজন
অমৃতা
অপহরন
অরণ্য
উত্তাপ
আবাদ
জীবন মহিমা
মৃন্ময়ী

তার প্রাপ্ত পুরস্কারসমুহ নিম্নরূপ
মানিক স্মৃতি পুরস্কার - ১৯৫৮ সালে সমুদ্র মানুষ এর জন্য।
বিভূতিভূষণ স্মৃতি পুরস্কার - ১৯৯১ সালে।
ভুয়াল্কা পুরস্কার - ১৯৯৩ সালে পঞ্চযোগিনী এর জন্য।
বঙ্কিম পুরস্কার - ১৯৯৮ সালে দুই ভারতবর্ষ এর জন্য।
মতিলাল পুরস্কার
তারাসঙ্কর স্মৃতি পুরস্কার
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ও সুধা পুরস্কার - কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার - ২০০১ সালে পঞ্চাশটি গল্প-এর জন্য
অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত

অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত
(সেপ্টেম্বর ১৯, ১৯০৩ থেকে জানুয়ারি ২৯, ১৯৭৬) (৭২ বছর)
নোয়াখালী জেলায় জন্ম গ্রহণ করলেও কলকাতায় মৃত্যু বরণ করেন।  তার ছদ্মনাম নীহারিকা দেবী কল্লোল, বিচিত্রা ও প্রবাসী পত্রিকা তার নামের সাথে যুক্ত।

তিনি কবি, ঔপন্যাসিক ও সম্পাদক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে শিক্ষা গ্রহণ করেন।
তিনি কল্লোল যুগের একজন রোমান্টিক, গণচেতনামুলক সাহিত্যিক।
তার উল্লেখযোগ্য রচনাসমূহ হল:
বেদে, কাকজোৎস্না, অমাবস্যা, পূর্ব-পশ্চিম, উত্তরায়ণ
সক্রিয় বছর
১৯২১ - ১৯৭৪
আত্মীয়
জিতেন্দ্রকুমার সেনগুপ্ত (ভাই)

বিস্তারিত:

পিতার কর্মস্থল নোয়াখালী শহরে তাঁর জন্ম হয়। তবে তাঁর পরিবারের আদি নিবাস ছিল বর্তমান মাদারিপুর জেলায়। তাঁর বাবা রাজকুমার সেনগুপ্ত নোয়াখালী আদালতের আইনজীবী ছিলেন।অচিন্ত্যকুমারের শৈশব, বাল্যজীবন, ও প্রাথমিক শিক্ষা নোয়াখালীতেই সম্পন্ন হয়। ১৯১৬ সালে বাবার মৃত্যুর পর তিনি কলকাতায় অগ্রজ জিতেন্দ্রকুমার সেনগুপ্তের নিকট চলে যান এবং সাউথ সাবার্বান স্কুল থেকে ম্যাট্রিক (১৯২০), সাউথ সাবার্বান কলেজ (বর্তমান আশুতোষ কলেজ) থেকে আই. এ. (১৯২২), এবং ইংরেজি সাহিত্যে অনার্সসহ বি. এ. (১৯২৪) পাস করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এম. এ (১৯২৬) ও পরবর্তীকালে বি. এল ডিগ্রী (১৯২৯) লাভ করেন।

কর্মজীবন

অচিন্ত্যকুমার ১৯২৫ সালে কল্লোল পত্রিকা প্রকাশনার দায়িত্ব নেন। তিনি বিচিত্রায়ও কিছুদিন কাজ করেন। ১৯৩১ সালে তিনি অস্থায়ী মুন্সেফ হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং ক্রমে সাব-জজ, জেলা জজ ও ল' কমিশনের স্পেশাল অফিসার পদে উন্নীত হয়ে ১৯৬০ সালে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
সাহিত্যকর্ম

১৯২১ সালে প্রবাসী পত্রিকায় নীহারিকা দেবী ছদ্মনামে অচিন্ত্যকুমারের প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়। তিনি উপন্যাস ও ছোটগল্প রচনায় বিশেষ কৃতিত্ব দেখান। তিনি উপন্যাসের আঙ্গিকে আবেগপূর্ণ ভাষায় ধর্মগুরুদের জীবনীও (যেমন- পরমপুরুষ শ্রীরামকৃষ্ণ, চার খণ্ডে (১৯৫২-১৯৫৭)) লিখেছেন। তাঁর প্রথম উপন্যাস বেদে (১৯২৮); এটি আঙ্গিক, রচনাভঙ্গি ও বিষয়বিন্যাসে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের একটি বিশিষ্ট উপন্যাস। তাঁর লেখায় আধুনিকতা অতি প্রবলভাবে ফুটে উঠেছে। কাকজ্যোৎস্না " প্রথম কদমফুল তাঁর অন্য দুইটি বিখ্যাত উপন্যাস। ছোটগল্পশিল্পী হিসেবেও তিনি খ্যাত। বিচারবিভাগে চাকরির বদৌলতে তিনি বাংলাদেশের নানা স্থানে ঘুরে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সংস্পর্শে আসেন; এইসব অন্তরঙ্গ পরিচিতজনদের জীবনের নানা কাহিনী অচিন্ত্যকুমার তাঁর ছোট গল্পগুলিতে নিপুণভাবে এঁকেছেন। টুটাফাটা (১৯২৮) তাঁর প্রথম ছোট গল্পের বই। তাঁর স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ কল্লোল যুগ (১৯৫০) পাঠক-মহলে বেশ সাড়া জাগায়।
অচিন্ত্যকুমারের গ্রন্থসংখ্যা সত্তরের মত। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলির একটি তালিকা নিচে দেওয়া হল।
উপন্যাস

বেদে (১৯২৮)
কাকজোৎস্না (১৯৩১)
বিবাহের চেয়ে বড় (১৯৩১)
প্রাচীর ও প্রান্তর (১৯৩২)
প্রথম কদমফুল (১৯৬১)
জীবনীগ্রন্থ

পরমপুরুষ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ (চার খন্ড ১৯৫২-১৯৫৭)
বীরেশ্বর বিবেকানন্দ (তিন খণ্ড, ১৯৫৮-৬৯)
স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ[সম্পাদনা]
কল্লোলযুগ (১৯৫০)
জৈষ্ঠের ঝড়
গল্পগ্রন্থ

টুটা-ফুটা (১৯২৮)
অকাল বসন্ত (১৯৩২)
অধিবাস (১৯৩২)
যতনবিবি (১৯৪৪)
কাঠ খড় কেরোসিন (১৯৪৫)
চাষাভুষা (১৯৪৭)
সারেঙ (১৯৪৭)
হাড়ি মুচি ডোম (১৯৪৮)
একরাত্রি (১৯৬১)
কাব্যগ্রন্থ

অমাবস্যা (১৯৩০)
আমরা (১৯৩৩)
প্রিয়া ও পৃথিবী (১৯৩৬)
নীল আকাশ (১৯৪৯)
আজন্মসুরভী (১৯৫১-৫২)
পূর্ব-পশ্চিম (১৯৬৯)
উত্তরায়ণ (১৯৭৪)[২]
নাটক

একাঙ্ক নাট্য-সংকলন (১৯৪৫)
পুরস্কার

সাহিত্য ও সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ১৯৭৫ সালে জগত্তারিণী পুরস্কার, রবীন্দ্রস্মৃতি পুরস্কার ও শরৎচন্দ্রস্মৃতি পুরস্কার লাভ করেন।

অমর মিত্র

অমর মিত্র (জন্ম :৩০ আগস্ট, ১৯৫১) একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক। বাংলা দেশের সাতক্ষীরার কাছে ধুলিহর গ্রামে | বিজ্ঞানের ছাত্র | কর্ম পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এক দপ্তরে | তিনি ২০০৬ সালে ধ্রুবপুত্র উপন্যাসের জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন।[১] অশ্বচরিত উপন্যাসের জন্য ২০০১ সালে বঙ্কিম পুরস্কার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচ্চ শিক্ষা দপ্তর থেকে। এ ব্যতীত ২০০৪ সালে শরৎ পুরস্কার ( ভাগলপুর ), ১৯৯৮ সালে সর্ব ভারতীয় কথা পুরস্কার স্বদেশযাত্রা গল্পের জন্য। ২০১০ সালে গজেন্দ্রকুমার মিত্র পুরস্কার।

সাহিত্যিক জীবন

    ১৯৭৪ সালে মেলার দিকে ঘর গল্প নিয়ে বাংলা সাহিত্যে তাঁর আত্মপ্রকাশ। ধীরে ধীরে নিজেকে বিকশিত করেছেন। প্রথম উপন্যাস নদীর মানুষ ১৯৭৮ সালে প্রকাশিত হয় অমৃত পত্রিকায়। প্রথম গল্পের বই মাঠ ভাঙে কালপুরুষ ১৯৭৮ সালে প্রকাশিত হয়।
    ধ্রুবপুত্র লেখা হয়েছিল ৭ বছর ধরে।  এই উপন্যাস খরা পীড়িত প্রাচীন উজ্জয়িনী নগরের কথা। এর যা কাহিনি তার সমস্তটাই লেখকের নির্মাণ। কবির নির্বাসনে নগর থেকে নির্বাসনে যায় জ্ঞান। মেঘে তার যাত্রাপথ বদল করে নেয়। প্রকৃতির এই পরিবর্তনে নগরে নেমে আসে বিপর্যয়। দীর্ঘ এই আখ্যান শেষ পর্যন্ত শূদ্র জাতির উত্থান ও কবির প্রত্যাবর্তন এ পৌঁছয়। এই কাহিনি যেন কবি কালিদাসের মেঘদূত কাব্যের বিপরীত এক নির্মাণ। খরা, জলের অভাবে আমার দেশ নিরন্তর দগ্ধ হয়। সেই কাহিনি এখানে এসেছে রূপক হয়ে। মেঘের অভাব জ্ঞানের অভাব। সৃজন কাল বন্ধ্যা হয়ে থাকে।  দেশ তার ভিতরে পোড়েক্ষমতা কী ভাবে মানুষকে অন্ধকারে ঠেলে নিরন্তর, এই উপন্যাস সেই কথাও খুঁজে বের করতে চেয়েছে। ২০০৬ সালে এই উপন্যাস সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছে।
   ১৯৯৮ সালে প্রকাশিত উপন্যাস অশ্বচরিত তথাগত বুদ্ধের ঘোড়া কন্থক ও তাঁর সারথী ছন্দকের কাহিনি। তারা এই আড়াই হাজার বছর ধরে অপেক্ষা করছে রাজপুত্রের প্রত্যাবর্তনের জন্য। এতদিনে এই পৃথিবী হিংসায় পরিপূর্ণ। বঙ্গোপসাগরের তীরে দীঘার ছোট এক হোটেলের খরিদ্দার সংগ্রহকারী ভানুদাস নিজেকে নিজেকে বলে ছন্দক। হোটেলওয়ালার টাট্টু ঘোড়ার পালক সেই ভানুদাস ঘোড়াটিকে বলে কন্থক। বৈশাখী পূর্ণিমার রাতে ঘোড়াটি পালায়। ভানুদাস সেই ঘোড়ার খোঁজে যায় চারদিকের গ্রামে গ্রামে, হাটে হাটে। রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে কোথায় না ?  এই উপন্যাস সময় থেকে সময়ান্তরে যাত্রা করেছে বারে বারে। তথাগত বুদ্ধের সময় থেকে হিংসাদীর্ণ এই সময়ে। সেই ঘোড়াটিও পালাতে পালাতে শেষ পর্যন্ত যেন হিরোসিমায় গিয়ে কালো বৃষ্টির ভিতরে গিয়ে পড়ে। লেখক ভারতীয় প্রতিবেশে জাদু বাস্তবতার ব্যবহার করেছেন এই উপন্যাসে। ঘোড়াটি প্রতি আশ্বিনে পালাত। এইবার পালিয়েছে ঘোর বৈশাখে। প্রকৃতি এক দিনেই দুই ঋতু যেন পার হয়ে গিয়েছিল। এই উপন্যাসের কোনো শেষ নেই যেন। চলতেই থাকে। অশ্বচরিত বাংলা উপন্যাসে এক আলাদা রীতির জন্ম দিয়েছে যেন। লেখক হিংসা আর মৃত্যুর বিপক্ষে জীবনের কথা শুনিয়েছেন। পরমাণু অস্ত্রের বিপক্ষে  কথা বলেছেন। ২০০১ সালে এই উপন্যাস বঙ্কিম পুরস্কারে ভূষিত হয়।

তার রচিত গ্রন্থসমুহ হল:

দশমী দিবসে
অমর মিত্রের শ্রেষ্ঠ গল্প
অর্ধেক রাত্রি
ডানা নেই উড়ে যায়
ধুলোগ্রাম
অশ্বচরিত ( বঙ্কিম পুরস্কার-২০০১ )
আগুনের গাড়ী
ধ্রুবপুত্র ( সাহিত্য একাদেমি-২০০৬)
নদীবসত
কৃষ্ণগহ্বর
আসনবনি
নিস্তব্দ নগর
প্রান্তরের অন্ধকার
ভি আই পি রোড
শ্যাম মিস্ত্রী কেমন ছিলেন
গজেন ভূঁইয়ার ফেরা
জনসমুদ্র
সবুজ রঙের শহর
সমাবেশ
সারিঘর
শূন্যের ঘর শূন্যের বাড়ি
সোনাই ছিলো নদীর নাম
হাঁসপাহাড়ি
সেরা ৫০টি গল্প ধনপতির চর, কন্যাডিহ্‌ , প্রিয় পঞ্চাশটি গল্প , মালতী মাধব্‌ , ভুবনডাঙা , hard times and other stories

আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
আখতারুজ্জামান মোহাম্মদ ইলিয়াস (১২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৩ থেকে ৪ জানুয়ারি, ১৯৯৭) গাইবান্ধা জেলা সাঘাটা থানা গোটিয়া গ্রাম জন্ম নেন এবং
মৃত্যু বরন করেন  আজিমপুর, ঢাকায়।
শিক্ষকতা, সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তিনি কর্ম জীবনে দায়িত্বপালন করেন।
বাংলা সাহিত্যে তিনি ঔপন্যাসিক হিসেবে পরিচিত
পুরস্কার
বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮৩)
একুশে পদক (১৯৯৯)
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস (১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৩ - ৪ জানুয়ারি ১৯৯৭) বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক। তিনি একজন স্বল্পপ্রজ লেখক ছিলেন। দুইটি উপন্যাস, গোটা পাঁচেক গল্পগ্রন্থ আর একটি প্রবন্ধ সংকলন এই নিয়ে তাঁর রচনাসম্ভার। বাস্তবতার নিপুণ চিত্রণ, ইতিহাস ও রাজনৈতিক জ্ঞান, গভীর অন্তর্দৃষ্টি ও সূক্ষ্ম কৌতুকবোধ তাঁর রচনাকে দিয়েছে ব্যতিক্রমী সুষমা। বাংলা সাহিত্যে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ'র পরেই তিনি সর্বাধিক প্রশংসিত বাংলাদেশী লেখক।

প্রাথমিক জীবন

আখতারুজ্জামান মোহাম্মদ ইলিয়াস ১৯৪৩ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলার গোটিয়া গ্রামে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম মঞ্জু। তাঁর পৈতৃক বাড়ি বগুড়া জেলায়। তাঁর বাবা বদিউজ্জামান মোহাম্মদ ইলিয়াস পূর্ব বাংলা প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য (১৯৪৭-১৯৫৩) এবং মুসলিম লীগে পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি ছিলেন।[১] তাঁর মায়ের নাম বেগম মরিয়ম ইলিয়াস। আখতারুজ্জামান বগুড়া জিলা স্কুল থেকে ১৯৫৮ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষা এবং ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৬০ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স ও মাস্টার্স পাস করেন (১৯৬৪)।
কর্মজীবন

আখতারুজ্জামান মোহাম্মদ ইলিয়াসের কর্মজীবন শুরু হয় জগন্নাথ কলেজে প্রভাষক পদে যোগদানের মাধ্যমে। এরপর তিনি মিউজিক কলেজের উপাধ্যক্ষ, প্রাইমারি শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরিচালক, ঢাকা কলেজের বাংলার প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মফিজউদ্দিন শিক্ষা কমিশনের সদস্য ছিলেন। কর্মজীবনে আখতারুজ্জামান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রীর নাম সুরাইয়া তুতুল। মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিচিত মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেন, গোপনে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। তাঁর লেখা প্রতিশোধ, অন্য ঘরে অন্য স্বর, খোঁয়ারি, মিলির হাতে স্টেনগান, অপঘাত, জাল স্বপ্ন স্বপ্নের জাল, রেইনকোট প্রভৃতি গল্পে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে উঠে এসেছে মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধপরবর্তী রাজনৈতিক এবং সামাজিক বাস্তবতা। ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠিত হলেও সরকারি কলেজের শিক্ষক হিসেবে বাকশালে যোগ দেওয়ার চাপ থাকলেও যোগ দেন নি।
সম্মাননা

আখতারুজ্জামান ইলিয়াস সম্পর্কে পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী বলেছেন, "কী পশ্চিম বাংলা কী বাংলাদেশ সবটা মেলালে তিনি শ্রেষ্ঠ লেখক।" লিখেছেন, "ইলিয়াস-এর পায়ের নখের তুল্য কিছু লিখতে পারলে আমি ধন্য হতাম।" ইমদাদুল হক মিলন বলেন : "গত ১৫-২০ বছরের মধ্যে তাঁর এ দু'টি উপন্যাসকে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস।" ১৯৮৩ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান। ১৯৯৬ সালে আনন্দ পুরস্কারে ভূষিত হন। সারা জীবন লড়াই করেছেন ডায়াবেটিস, জন্ডিস-সহ নানাবিধ রোগে। ১৯৯৭ সালের ৪ঠা জানুয়ারি আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা কম্যুনিটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
সাংগঠনিক তৎপরতা

ইলিয়াস বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন বাঙলাদেশ লেখক শিবির এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

উপন্যাস

চিলেকোঠার সেপাই (১৯৮৭)
খোয়াবনামা (১৯৯৬)
ছোট গল্প সংকলন

অন্য ঘরে অন্য স্বর (১৯৭৬)
খোঁয়ারি (১৯৮২)
দুধভাতে উৎপাত (১৯৮৫)
দোজখের ওম (১৯৮৯)
জাল স্বপ্ন, স্বপ্নের জাল (১৯৯৭)
প্রবন্ধ সংকলন

সংস্কৃতির ভাঙ্গা সেতু (২২টি প্রবন্ধ)
ছোট গল্প

প্রেমের গপ্পো
রেইনকোট
জাল স্বপ্ন, স্বপ্নের জাল
ফোঁড়া
কান্না
নিরুদ্দেশ যাত্রা
যুগলবন্দি
ফেরারী
অপঘাত
পায়ের নিচে জল
দুধভাতে উৎপাত
সন্তু
ঈদ
মিলির হাতে স্টেনগান
পুরস্কার

হুমায়ুন কবির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৭৭)
বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৮৩)
আলাওল সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৭)
আনন্দ পুরস্কার (১৯৯৬)
সাদাত আলী আখন্দ পুরস্কার (১৯৯৬)
কাজী মাহবুবুল্লাহ স্বর্ণপদক (১৯৯৬)
একুশে পদক (মরণোত্তর) (১৯৯৯)
তার কিছু কাজ অন্য ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং চিলেকাঠার সেপাই উপন্যাসটি অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। তার কান্না গল্পটি অবলম্বনেও একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে।

0 comments
 
Support : Creating Website | Johny Template | Mas Template
Copyright © 2011. bangladeshiblindwriter - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Mas Template
Proudly powered by Blogger