জিনের চিকিৎসা প্রথম দৃস্য আকাশ তার পড়ার টেবিলে। নাদিমের প্রবেশ। নাদিম: হাই আকাশ, আজ তোমাকে একটা সুখবর দিতে এলাম। আকাশ: তাই নাকি। তা কি সে সুখবর? শুনি। নাদিম: আমাদের এলাকায় একজন কবিরাজ এসেছে। সে জিনের মাধ্যমে কাজ করে। আমি কার সাথে তোমার চোখের ব্যাপারে কথা বলেছি। তুমি জিনের দেওয়া ঔষধ ব্যাবহার করে দেখ। আল্লাহ চাইলে তোমার চোখ ভাল হয়ে যেতে পারে। আকাশ: দুর কি যে বল! কত দাক্তার, কত কবিরাজ দেখলাম। আসলে কারো চোখ একবার নষ্ট হয়েগেলে তা আর ভাল হয় না। তুমি কি কখনো দেখেছ, নষ্ট চোখ আবার ঠিক হয়েছে? নাদিম: আরে বাপ, এত হতাশ হইলে কি হয়। আল্লাহ তোমার চোখ নিয়েছে আবার তিনিই তোমার চোখ ফিরিয়ে দিবে বলেই তো মাছুম কবিরাজকে পাঠিয়েছে। আকাশ প্রচণ্ড হেসে: তুমি আসলে আগের যুগেই রয়েছ। শুন, কোনো কবিরাজ কখনই মানুষের উপকারে আসে না। ওরা ভণ্ডামি করে মানুষের টাকা পয়শা মেরে চলে যায়। নাদিম: আকাশ, বিশ্বাসে মেলায় বস্তু তর্কে বহু দুর। আল্লাহ আছে, এটা সবাই জানে কিন্তু তবুও যদি কেউ বলে যে আমি আল্লাহকে কোথাও দেখি নি, অতয়েব আল্লাহ নেই। তবে তাকে বিশ্বাস করানো খুবি কঠিন। আর তাছাড়া আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলছি মাছুম কাকা অমন লোক নয়। কাজ না হলে সে সবাইকে টাকা ফিরিয়ে দেয়। আমার প্রতি তোমার বিশ্বাস আছে নিশ্চয়। তোমার টাকা মেরে দিলে আমি তোমাকে সব টাকা ফিরিয়ে দিব। প্রয়োজনে তুমি স্টেম্পে আমার শই নিবে, আমার ভাই, বোন এমন কি আমার মাও তাতে শই দিতে রাজি আছে। আমরা চাই তুমি চোখ ফিরে পাও। দুনিয়াটা আবার দেখ। আরে অনেক টাকাই তো খরচ করছ নাহয় আমার কথায় আর একবার কাওকে বিশ্বাস করলে। আকাশ: স্টেম্পের কথা আসছে কেন? আমি টাকা দিলে স্টেম্প ছাড়াই দিব কিন্তু আমার কবিরাজদের উপর বিশ্বাস নেয়। নাদিম: তুমি জান, আমি প্রচণ্ড অসুস্থ ছিলাম। কোনো দাক্তার আমার অসুখ ধরতেই পারল না। অথচ মাছুম কাকার ঔষুধ খেয়ে আমি এখন পুরুপুরি সুস্থ। লিপি আপু বাচ্চা হওয়ার জন্য কত দাক্তার, কবিরাজ দেখাল, হাজার হাজার টাকা ভাঙল। কিন্তু কোনো ফল হল না। অথচ তুমি কি জানো লিপি আপুর খবর? সে এখন প্রেগনেন্ট। আকাশ: তাই নাকি! নাদিম: হ্যা, আর তা সম্ভব হয়েছে মাছুম কাকার ঔষুধে। আকাশের মায়ের প্রবেশ। নাদিম: আসসালামু আলাইকুম আন্টি। মা সালামের উত্তর নিয়ে: কি লইয়া কথা কয়তাছ তোমরা? নাদিম: আন্টি, আমাদের এলাকায় একজন কবিরাজ এসেছে যে জিনের দেওয়া অষুধ দিয়ে কাজ করে। আকাশের চোখের চিকিৎসাটা উনাকে দিয়ে করাতে চাই। আকাশ: নাদিম, বাদ দাও না সে কথা। আমার চোখ দরকার নেই। আমি এমনিতেই ভাল আছি। মা: চিকিশা করাইতে চাইতাছে করাক। তোর সমস্যা কি? নাদিম: আন্টি ওরে একটু বোঝান। আমি বলছি মাছুম কাকা খুব ভাল মানুষ তবুও ওর ধারনা উনি টাকা মেরে দিয়ে চলে যাবে। মা: আরে সবাই কি এক? তোর টেহা মাইরা দিলেওতো তোর কপাল কেউ লইয়া যাইতারতো না। কত টেহা লাগব। নাদিম: ৪২ হাজার। তবে প্রথমে অর্ধেক দিতে হবে আর বাকি অর্ধেক চোখ ভাল হওয়ার পরে। মা: কতদিন চিকিশা করান লাগব? নাদিম: ছয় মাস। ছয় মাসের মধ্যে কাজ না হলে টাকা ফিরিয়ে দিবে। তবে আপনারা একটা স্টেম্প লিখে টাকা দিবেন। মা: স্টেম দিয়া কি হয়ব। আমরাতো আর হেরে চিনি না। নাদিম: না আন্টি, আপনারা স্টেম্প করবেন আমার নামে। কাজ না হলে আমি টাকা ফিরদ দেব। আকাশ: আমার চোখ ভাল হলেও তো তো তোমার কোনো লাভ নেই আবার ভাল না হলেও তো তোমার কোনো লাভ নেই তবে তুমি কেন এ রিস্ক নিতে যাবে? নাদিম: আকাশ, সব কিছু কি লাভ ক্ষতি হিসেব করে হয়? আমি তোমাকে স্টেম্পের কথা বলছি এ জন্য যেন পরবর্তিতে তোমার টাকা মেরে দিলে তা দিতে আমি বাদ্ধ থাকি। কারণ আমি জানি তোমার টাকাটা কলেজ শেষে খুবি দরকার। আর তাই তুমি ওটা হাত ছারা করতে চাও না। আকাশ: ok. তবে তুমিই টাকাটা দিয়ে দাও। নাদিম: আমাকে লজ্জা দিও না। আমার কাছে বর্তমানে টাকা নেই তবে কিছু দিন পরে টাকা হবে। কিন্তু আমি চাই তুমি তাড়াতারি দৃষ্টি ফিরে পাও। মা: চিন্তা কইরো না বাবা। আমি টেহা দেম। তুমি হেরে বাইত লইয়া আও। আমরা হেরে দেহি, কথা কই হেও আঙ্গরে দেহুক। স্টেম টিস্টেম পরে দেহা যাইব নে। নাদিম: আচ্ছা আন্টি তাহলে আমি সন্ধ্যার পরে উনাকে নিয়ে আসছি। চল আকাশ, তুমিও আমার সাথে চল। একটু ঘুরেও আসলে আর আমার মা তোমার জন্য খিচুরি রেখেছে খেয়েও আসলে। আকাশ: বেশ চল। দ্বিতীয় দৃস্য নাদিমদের ঘরে নাদিম আর আকাশের প্রবেশ। নাদিমের মা: আরে আকাশ, অনেক দিন পরে আসলে কি খবর? কেমন আছ? আকাশ: জি আন্টি ভাল। আপনি কেমন? নাদিমের মা: ভাল। তোমার মা, বাবার শরীরটা ভালতো? আকাশ: জি আন্টি। সবাই ভাল আছে। নাদিমের মা: এত দিন আস নাই যে? আকাশ: আন্টি পরিক্ষা চলছিলতো তাই। নাদিমের মা: আমরাতো তোমার চোখের ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছি। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। আকাশ: আন্টি আপনিও কবিরাজ বিশ্বাস করেন? নাদিম: দেখলা মা, আকাশ মানুষকে কতটা অবিশ্বাস করে। নাদিমের মা: না আকাশ, এতটা অবিশ্বাস করলে দুনিয়াতে বাঁচা যাবে না। দুনিয়াতে বাঁচতে হলে মানুষকে বিশ্বাস করতেই হবে। আর আমরাতো আছিই না? তোমার এত চিন্তা করার কিছু নাই। নুপুরের প্রবেশ। নুপুর: কি রে আকাইশ্শা, তুই এত দিন কি শশুর বাড়িতে গিয়েছিলি? নাদিম: না আপু, ও এত দিন plan করছিল প্রধানমন্ত্রী হলে ও কি করবে। নুপুর: তাই নাকি আকাশ? আকাশ: আরে আপু নাদিমের সাথে আপনিও কি বোকা হয়েগেলেন? আপনি জানেন না, বাংলাদেশে ছেলেদের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযুগ নেই বরং আমার পার্টির প্রধান হিসেবে আপনাকে মননয়ন দিতে পারি। নুপুর: থাক ভাই, তুমি ওই মননয়নটা তোমার বৌকেই দিও। আকাশ: হু, তারপর দেখা যাবে আমার বৌ আমাকে ক্ষুন করে নাদিমের সাথে চলেগেছে। নাদিম: তো চলেগেলে গেল। তোমার বৌতো আমারো বৌ। তার প্রতি তোমার যেমন অধিকার আছে তেমনি আমারো আছে। আকাশ: এ জন্যই তোমার আগে আমি বিয়ে করছি না। নাদিম: আমার বৌতো তোমার ভাবিই হবে। নুপুর: এই ফাজিলেরা বড় আপুর সামনে এ সব কি বলছ? নাদিম: কেন আপু তুমি কি আমাদের সামনে দুলাভাইয়ের সাথে কথা বলবে না? আকাশ: আরে বোঝনা নিজেরটার সময় বড় আর ছোট নেই, শুধু আমরা কিছু করতে গেলেই তোমরা এখনো ছোট, বড়দের সামনে এ সব কি, ইত্যাদি, ইত্যাদি। নুপুর: দাড়া ফোনটা আগে receive করে আসি তারপর দেখাচ্ছি মজা। আকাশ: জান, জান, হবু দুলাভাইয়ের ফোন। আমাদের সাথে কথা বলে আর পোশবে না। মাছুমের প্রবেশ। নাদিম: আরে কাকা, আমিতো এখনি আপনার কাছে যেতাম। আসেন, বসেন। আপনি এসেছেন ভালই হল। মা, আকাশকে আর কাকাকে খেতে দাও। খেতে খেতেই কথা বলি। আকাশ: খাবার দিতে বললে আমাদেরকে কিন্তু খেতে খেতে কথা বলবে তুমি, এটা কি করে সম্ভব? মাছুম: নাদিম উনি? নাদিম: ও আকাশ। মাছুম: ও তুমি ওর কথাই বলেছিলে। তাই না? নাদিম: হ্যা। মাছুম: দেখি বাবা, তোমার গ্লাসটা খুলতো। আকাশ সানগ্লাস খুলে: এইতো দেখেন। মাছুম: তোমার চোখ কিভাবে নষ্ট হয়েছে? আকাশ: টাইফয়েডে। মাছুম: কত বছর বয়সে? আকাশ: আমার যখন আড়াই বছর, তখন। মাছুম: হাইরে, আল্লাহর খেলা বোঝা বড় দায়। কত সুন্দর একটি ছেলে, নাখ, মুখ আর হাত পা সবি ঠিক কিন্তু আসল জিনিসটাই নিয়েগেছে। এমন জীবন থাকা আর না থাকা সমান কথা। আকাশ: আমার কাছে কিন্তু কখনই মনে হয় না যে দৃষ্টিই জীবনের সব কিছু। মাছুম: মনে কষ্ট পেও না বাবা, আমাদের সমাজে দৃষ্টি ছাড়া মানুষের কোনো মুল্য নেই। আকাশ: সমাজতো মানুষেরই তৈরী। আমি সে সমাজকে পাল্টাব। মাছুম: তবে আমার কাছে তোমার চোখের চিকিৎসা আছে। আকাশ: নাদিমের কাছে শুনেছি। নাদিম: কাকা, সন্ধ্যার পরে চলেন আকাশদের বাড়িতে। আকাশের মা আপনার সাথে কথা বলতে চায়। মাছুম: কথা বলে কি হবে। এত টাকা ওরা দিতে পারবে না আর আকাশের মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে যে ও এ সব বিশ্বাস করে না। কি ঠিক বললাম আমি? আকাশ ইতস্ততভাবে: জি, মানে! আসলে তা না। মাছুম: মিথ্যা বলো না। কেউ মিথ্যা বললে আমি বোঝতে পারি। আকাশ: আসলে আমি বহু মানুষের কাছ থেকে প্রতারনা পেয়েছিতো তাই। মাছুম: তাদের কেউ কি কুরআনের হাফেজ ছিল? আকাশ: না। মাছুম: একবার কুরআনকে বিশ্বাস করে দেখ। আকাশ: কুরআনের প্রতি আমার পুরোপুরি বিশ্বাস আছে। কিন্তু মানুষ জিনের মাধ্যমে চিকিৎসা করে, এটা যেন কেমন বিষয়।
প্রথম দৃস্য
আকাশ তার পড়ার টেবিলে। নাদিমের প্রবেশ।
নাদিম: হাই আকাশ, আজ তোমাকে একটা সুখবর দিতে
এলাম।
আকাশ: তাই নাকি। তা কি সে সুখবর? শুনি।
নাদিম: আমাদের এলাকায় একজন কবিরাজ এসেছে। সে
জিনের মাধ্যমে কাজ করে। আমি কার সাথে তোমার চোখের ব্যাপারে কথা বলেছি। তুমি জিনের
দেওয়া ঔষধ ব্যাবহার করে দেখ। আল্লাহ চাইলে তোমার চোখ ভাল হয়ে যেতে পারে।
আকাশ: দুর কি যে বল! কত দাক্তার, কত কবিরাজ
দেখলাম। আসলে কারো চোখ একবার নষ্ট হয়েগেলে তা আর ভাল হয় না। তুমি কি কখনো দেখেছ,
নষ্ট চোখ আবার ঠিক হয়েছে?
নাদিম: আরে বাপ, এত হতাশ হইলে কি হয়। আল্লাহ
তোমার চোখ নিয়েছে আবার তিনিই তোমার চোখ ফিরিয়ে দিবে বলেই তো মাছুম কবিরাজকে
পাঠিয়েছে।
আকাশ প্রচণ্ড হেসে:
তুমি আসলে আগের যুগেই রয়েছ। শুন, কোনো কবিরাজ কখনই মানুষের উপকারে আসে না। ওরা
ভণ্ডামি করে মানুষের টাকা পয়শা মেরে চলে যায়।
নাদিম: আকাশ, বিশ্বাসে
মেলায় বস্তু তর্কে বহু দুর। আল্লাহ আছে, এটা সবাই জানে কিন্তু তবুও যদি কেউ বলে যে
আমি আল্লাহকে কোথাও দেখি নি, অতয়েব আল্লাহ নেই। তবে তাকে বিশ্বাস করানো খুবি কঠিন।
আর তাছাড়া আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলছি মাছুম কাকা অমন লোক নয়। কাজ না হলে সে সবাইকে টাকা ফিরিয়ে দেয়। আমার প্রতি তোমার বিশ্বাস আছে নিশ্চয়।
তোমার টাকা মেরে দিলে আমি তোমাকে সব টাকা ফিরিয়ে দিব। প্রয়োজনে তুমি স্টেম্পে আমার
শই নিবে, আমার ভাই, বোন এমন কি আমার মাও তাতে শই দিতে রাজি আছে। আমরা চাই তুমি চোখ
ফিরে পাও। দুনিয়াটা আবার দেখ। আরে অনেক টাকাই তো খরচ করছ নাহয় আমার কথায় আর একবার
কাওকে বিশ্বাস করলে।
আকাশ: স্টেম্পের কথা
আসছে কেন? আমি টাকা দিলে স্টেম্প ছাড়াই দিব কিন্তু আমার কবিরাজদের উপর বিশ্বাস
নেয়।
নাদিম: তুমি জান, আমি
প্রচণ্ড অসুস্থ ছিলাম। কোনো দাক্তার আমার অসুখ ধরতেই পারল না। অথচ মাছুম কাকার ঔষুধ
খেয়ে আমি এখন পুরুপুরি সুস্থ। লিপি আপু বাচ্চা হওয়ার জন্য কত দাক্তার, কবিরাজ
দেখাল, হাজার হাজার টাকা ভাঙল। কিন্তু কোনো ফল হল না। অথচ তুমি কি জানো লিপি আপুর
খবর? সে এখন প্রেগনেন্ট।
আকাশ: তাই নাকি!
নাদিম: হ্যা, আর তা
সম্ভব হয়েছে মাছুম কাকার ঔষুধে।
আকাশের মায়ের প্রবেশ।
নাদিম: আসসালামু
আলাইকুম আন্টি।
মা সালামের উত্তর
নিয়ে: কি লইয়া কথা কয়তাছ তোমরা?
নাদিম: আন্টি, আমাদের
এলাকায় একজন কবিরাজ এসেছে যে জিনের দেওয়া অষুধ দিয়ে কাজ করে। আকাশের চোখের
চিকিৎসাটা উনাকে দিয়ে করাতে চাই।
আকাশ: নাদিম, বাদ দাও
না সে কথা। আমার চোখ দরকার নেই। আমি এমনিতেই ভাল আছি।
মা: চিকিশা করাইতে
চাইতাছে করাক। তোর সমস্যা কি?
নাদিম: আন্টি ওরে একটু
বোঝান। আমি বলছি মাছুম কাকা খুব ভাল মানুষ তবুও ওর ধারনা উনি টাকা মেরে দিয়ে চলে
যাবে।
মা: আরে সবাই কি এক?
তোর টেহা মাইরা দিলেওতো তোর কপাল কেউ লইয়া যাইতারতো না। কত টেহা লাগব।
নাদিম: ৪২ হাজার। তবে
প্রথমে অর্ধেক দিতে হবে আর বাকি অর্ধেক চোখ ভাল হওয়ার পরে।
মা: কতদিন চিকিশা করান
লাগব?
নাদিম: ছয় মাস। ছয়
মাসের মধ্যে কাজ না হলে টাকা ফিরিয়ে দিবে। তবে আপনারা একটা স্টেম্প লিখে টাকা
দিবেন।
মা: স্টেম দিয়া কি
হয়ব। আমরাতো আর হেরে চিনি না।
নাদিম: না আন্টি,
আপনারা স্টেম্প করবেন আমার নামে। কাজ না হলে আমি টাকা ফিরদ দেব।
আকাশ: আমার চোখ ভাল
হলেও তো তো তোমার কোনো লাভ নেই আবার ভাল না হলেও তো তোমার কোনো লাভ নেই তবে তুমি
কেন এ রিস্ক নিতে যাবে?
নাদিম: আকাশ, সব কিছু
কি লাভ ক্ষতি হিসেব করে হয়? আমি তোমাকে স্টেম্পের কথা বলছি এ জন্য যেন পরবর্তিতে
তোমার টাকা মেরে দিলে তা দিতে আমি বাদ্ধ থাকি। কারণ আমি জানি তোমার টাকাটা কলেজ
শেষে খুবি দরকার। আর তাই তুমি ওটা হাত ছারা করতে চাও না।
আকাশ: ok. তবে তুমিই টাকাটা দিয়ে দাও।
নাদিম: আমাকে লজ্জা
দিও না। আমার কাছে বর্তমানে টাকা নেই তবে কিছু দিন পরে টাকা হবে। কিন্তু আমি চাই
তুমি তাড়াতারি দৃষ্টি ফিরে পাও।
মা: চিন্তা কইরো না
বাবা। আমি টেহা দেম। তুমি হেরে বাইত লইয়া আও। আমরা হেরে দেহি, কথা কই হেও আঙ্গরে
দেহুক। স্টেম টিস্টেম পরে দেহা যাইব নে।
নাদিম: আচ্ছা আন্টি
তাহলে আমি সন্ধ্যার পরে উনাকে নিয়ে আসছি। চল আকাশ, তুমিও আমার সাথে চল। একটু ঘুরেও
আসলে আর আমার মা তোমার জন্য খিচুরি রেখেছে খেয়েও আসলে।
আকাশ: বেশ চল।
দ্বিতীয় দৃস্য
নাদিমদের ঘরে নাদিম আর
আকাশের প্রবেশ।
নাদিমের মা: আরে আকাশ,
অনেক দিন পরে আসলে কি খবর? কেমন আছ?
আকাশ: জি আন্টি ভাল।
আপনি কেমন?
নাদিমের মা: ভাল।
তোমার মা, বাবার শরীরটা ভালতো?
আকাশ: জি আন্টি। সবাই
ভাল আছে।
নাদিমের মা: এত দিন আস
নাই যে?
আকাশ: আন্টি পরিক্ষা
চলছিলতো তাই।
নাদিমের মা: আমরাতো
তোমার চোখের ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছি। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।
আকাশ: আন্টি আপনিও
কবিরাজ বিশ্বাস করেন?
নাদিম: দেখলা মা, আকাশ
মানুষকে কতটা অবিশ্বাস করে।
নাদিমের মা: না আকাশ,
এতটা অবিশ্বাস করলে দুনিয়াতে বাঁচা যাবে না। দুনিয়াতে বাঁচতে হলে মানুষকে বিশ্বাস
করতেই হবে। আর আমরাতো আছিই না? তোমার এত চিন্তা করার কিছু নাই।
নুপুরের প্রবেশ।
নুপুর: কি রে
আকাইশ্শা, তুই এত দিন কি শশুর বাড়িতে গিয়েছিলি?
নাদিম: না আপু, ও এত
দিন plan করছিল প্রধানমন্ত্রী হলে ও কি করবে।
নুপুর: তাই নাকি আকাশ?
আকাশ: আরে আপু নাদিমের
সাথে আপনিও কি বোকা হয়েগেলেন? আপনি জানেন না, বাংলাদেশে ছেলেদের প্রধানমন্ত্রী
হওয়ার সুযুগ নেই বরং আমার পার্টির প্রধান হিসেবে আপনাকে মননয়ন দিতে পারি।
নুপুর: থাক ভাই, তুমি
ওই মননয়নটা তোমার বৌকেই দিও।
আকাশ: হু, তারপর দেখা
যাবে আমার বৌ আমাকে ক্ষুন করে নাদিমের সাথে চলেগেছে।
নাদিম: তো চলেগেলে
গেল। তোমার বৌতো আমারো বৌ। তার প্রতি তোমার যেমন অধিকার আছে তেমনি আমারো আছে।
আকাশ: এ জন্যই তোমার
আগে আমি বিয়ে করছি না।
নাদিম: আমার বৌতো
তোমার ভাবিই হবে।
নুপুর: এই ফাজিলেরা বড়
আপুর সামনে এ সব কি বলছ?
নাদিম: কেন আপু তুমি
কি আমাদের সামনে দুলাভাইয়ের সাথে কথা বলবে না?
আকাশ: আরে বোঝনা
নিজেরটার সময় বড় আর ছোট নেই, শুধু আমরা কিছু করতে গেলেই তোমরা এখনো ছোট, বড়দের
সামনে এ সব কি, ইত্যাদি, ইত্যাদি।
নুপুর: দাড়া ফোনটা আগে
receive
করে আসি তারপর দেখাচ্ছি মজা।
আকাশ: জান, জান, হবু
দুলাভাইয়ের ফোন। আমাদের সাথে কথা বলে আর পোশবে না।
মাছুমের প্রবেশ।
নাদিম: আরে কাকা,
আমিতো এখনি আপনার কাছে যেতাম। আসেন, বসেন। আপনি এসেছেন ভালই হল। মা, আকাশকে আর
কাকাকে খেতে দাও। খেতে খেতেই কথা বলি।
আকাশ: খাবার দিতে বললে
আমাদেরকে কিন্তু খেতে খেতে কথা বলবে তুমি, এটা কি করে সম্ভব?
মাছুম: নাদিম উনি?
নাদিম: ও আকাশ।
মাছুম: ও তুমি ওর কথাই
বলেছিলে। তাই না?
নাদিম: হ্যা।
মাছুম: দেখি বাবা,
তোমার গ্লাসটা খুলতো।
আকাশ সানগ্লাস খুলে:
এইতো দেখেন।
মাছুম: তোমার চোখ
কিভাবে নষ্ট হয়েছে?
আকাশ: টাইফয়েডে।
মাছুম: কত বছর বয়সে?
আকাশ: আমার যখন আড়াই
বছর, তখন।
মাছুম: হাইরে, আল্লাহর
খেলা বোঝা বড় দায়। কত সুন্দর একটি ছেলে, নাখ, মুখ আর হাত পা সবি ঠিক কিন্তু আসল
জিনিসটাই নিয়েগেছে। এমন জীবন থাকা আর না থাকা সমান কথা।
আকাশ: আমার কাছে
কিন্তু কখনই মনে হয় না যে দৃষ্টিই জীবনের সব কিছু।
মাছুম: মনে কষ্ট পেও
না বাবা, আমাদের সমাজে দৃষ্টি ছাড়া মানুষের কোনো মুল্য নেই।
আকাশ: সমাজতো মানুষেরই
তৈরী। আমি সে সমাজকে পাল্টাব।
মাছুম: তবে আমার কাছে
তোমার চোখের চিকিৎসা আছে।
আকাশ: নাদিমের কাছে
শুনেছি।
নাদিম: কাকা, সন্ধ্যার
পরে চলেন আকাশদের বাড়িতে। আকাশের মা আপনার সাথে কথা বলতে চায়।
মাছুম: কথা বলে কি
হবে। এত টাকা ওরা দিতে পারবে না আর আকাশের মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে যে ও এ সব বিশ্বাস
করে না। কি ঠিক বললাম আমি?
আকাশ ইতস্ততভাবে: জি,
মানে! আসলে তা না।
মাছুম: মিথ্যা বলো না।
কেউ মিথ্যা বললে আমি বোঝতে পারি।
আকাশ: আসলে আমি বহু
মানুষের কাছ থেকে প্রতারনা পেয়েছিতো তাই।
মাছুম: তাদের কেউ কি
কুরআনের হাফেজ ছিল?
আকাশ: না।
মাছুম: একবার কুরআনকে
বিশ্বাস করে দেখ।
আকাশ: কুরআনের প্রতি
আমার পুরোপুরি বিশ্বাস আছে। কিন্তু মানুষ জিনের মাধ্যমে চিকিৎসা করে, এটা যেন কেমন
বিষয়।
প্রথম দৃস্য
আকাশ তার পড়ার টেবিলে। নাদিমের প্রবেশ।
নাদিম: হাই আকাশ, আজ তোমাকে একটা সুখবর দিতে
এলাম।
আকাশ: তাই নাকি। তা কি সে সুখবর? শুনি।
নাদিম: আমাদের এলাকায় একজন কবিরাজ এসেছে। সে
জিনের মাধ্যমে কাজ করে। আমি কার সাথে তোমার চোখের ব্যাপারে কথা বলেছি। তুমি জিনের
দেওয়া ঔষধ ব্যাবহার করে দেখ। আল্লাহ চাইলে তোমার চোখ ভাল হয়ে যেতে পারে।
আকাশ: দুর কি যে বল! কত দাক্তার, কত কবিরাজ
দেখলাম। আসলে কারো চোখ একবার নষ্ট হয়েগেলে তা আর ভাল হয় না। তুমি কি কখনো দেখেছ,
নষ্ট চোখ আবার ঠিক হয়েছে?
নাদিম: আরে বাপ, এত হতাশ হইলে কি হয়। আল্লাহ
তোমার চোখ নিয়েছে আবার তিনিই তোমার চোখ ফিরিয়ে দিবে বলেই তো মাছুম কবিরাজকে
পাঠিয়েছে।
আকাশ প্রচণ্ড হেসে:
তুমি আসলে আগের যুগেই রয়েছ। শুন, কোনো কবিরাজ কখনই মানুষের উপকারে আসে না। ওরা
ভণ্ডামি করে মানুষের টাকা পয়শা মেরে চলে যায়।
নাদিম: আকাশ, বিশ্বাসে
মেলায় বস্তু তর্কে বহু দুর। আল্লাহ আছে, এটা সবাই জানে কিন্তু তবুও যদি কেউ বলে যে
আমি আল্লাহকে কোথাও দেখি নি, অতয়েব আল্লাহ নেই। তবে তাকে বিশ্বাস করানো খুবি কঠিন।
আর তাছাড়া আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলছি মাছুম কাকা অমন লোক নয়। কাজ না হলে সে সবাইকে টাকা ফিরিয়ে দেয়। আমার প্রতি তোমার বিশ্বাস আছে নিশ্চয়।
তোমার টাকা মেরে দিলে আমি তোমাকে সব টাকা ফিরিয়ে দিব। প্রয়োজনে তুমি স্টেম্পে আমার
শই নিবে, আমার ভাই, বোন এমন কি আমার মাও তাতে শই দিতে রাজি আছে। আমরা চাই তুমি চোখ
ফিরে পাও। দুনিয়াটা আবার দেখ। আরে অনেক টাকাই তো খরচ করছ নাহয় আমার কথায় আর একবার
কাওকে বিশ্বাস করলে।
আকাশ: স্টেম্পের কথা
আসছে কেন? আমি টাকা দিলে স্টেম্প ছাড়াই দিব কিন্তু আমার কবিরাজদের উপর বিশ্বাস
নেয়।
নাদিম: তুমি জান, আমি
প্রচণ্ড অসুস্থ ছিলাম। কোনো দাক্তার আমার অসুখ ধরতেই পারল না। অথচ মাছুম কাকার ঔষুধ
খেয়ে আমি এখন পুরুপুরি সুস্থ। লিপি আপু বাচ্চা হওয়ার জন্য কত দাক্তার, কবিরাজ
দেখাল, হাজার হাজার টাকা ভাঙল। কিন্তু কোনো ফল হল না। অথচ তুমি কি জানো লিপি আপুর
খবর? সে এখন প্রেগনেন্ট।
আকাশ: তাই নাকি!
নাদিম: হ্যা, আর তা
সম্ভব হয়েছে মাছুম কাকার ঔষুধে।
আকাশের মায়ের প্রবেশ।
নাদিম: আসসালামু
আলাইকুম আন্টি।
মা সালামের উত্তর
নিয়ে: কি লইয়া কথা কয়তাছ তোমরা?
নাদিম: আন্টি, আমাদের
এলাকায় একজন কবিরাজ এসেছে যে জিনের দেওয়া অষুধ দিয়ে কাজ করে। আকাশের চোখের
চিকিৎসাটা উনাকে দিয়ে করাতে চাই।
আকাশ: নাদিম, বাদ দাও
না সে কথা। আমার চোখ দরকার নেই। আমি এমনিতেই ভাল আছি।
মা: চিকিশা করাইতে
চাইতাছে করাক। তোর সমস্যা কি?
নাদিম: আন্টি ওরে একটু
বোঝান। আমি বলছি মাছুম কাকা খুব ভাল মানুষ তবুও ওর ধারনা উনি টাকা মেরে দিয়ে চলে
যাবে।
মা: আরে সবাই কি এক?
তোর টেহা মাইরা দিলেওতো তোর কপাল কেউ লইয়া যাইতারতো না। কত টেহা লাগব।
নাদিম: ৪২ হাজার। তবে
প্রথমে অর্ধেক দিতে হবে আর বাকি অর্ধেক চোখ ভাল হওয়ার পরে।
মা: কতদিন চিকিশা করান
লাগব?
নাদিম: ছয় মাস। ছয়
মাসের মধ্যে কাজ না হলে টাকা ফিরিয়ে দিবে। তবে আপনারা একটা স্টেম্প লিখে টাকা
দিবেন।
মা: স্টেম দিয়া কি
হয়ব। আমরাতো আর হেরে চিনি না।
নাদিম: না আন্টি,
আপনারা স্টেম্প করবেন আমার নামে। কাজ না হলে আমি টাকা ফিরদ দেব।
আকাশ: আমার চোখ ভাল
হলেও তো তো তোমার কোনো লাভ নেই আবার ভাল না হলেও তো তোমার কোনো লাভ নেই তবে তুমি
কেন এ রিস্ক নিতে যাবে?
নাদিম: আকাশ, সব কিছু
কি লাভ ক্ষতি হিসেব করে হয়? আমি তোমাকে স্টেম্পের কথা বলছি এ জন্য যেন পরবর্তিতে
তোমার টাকা মেরে দিলে তা দিতে আমি বাদ্ধ থাকি। কারণ আমি জানি তোমার টাকাটা কলেজ
শেষে খুবি দরকার। আর তাই তুমি ওটা হাত ছারা করতে চাও না।
আকাশ: ok. তবে তুমিই টাকাটা দিয়ে দাও।
নাদিম: আমাকে লজ্জা
দিও না। আমার কাছে বর্তমানে টাকা নেই তবে কিছু দিন পরে টাকা হবে। কিন্তু আমি চাই
তুমি তাড়াতারি দৃষ্টি ফিরে পাও।
মা: চিন্তা কইরো না
বাবা। আমি টেহা দেম। তুমি হেরে বাইত লইয়া আও। আমরা হেরে দেহি, কথা কই হেও আঙ্গরে
দেহুক। স্টেম টিস্টেম পরে দেহা যাইব নে।
নাদিম: আচ্ছা আন্টি
তাহলে আমি সন্ধ্যার পরে উনাকে নিয়ে আসছি। চল আকাশ, তুমিও আমার সাথে চল। একটু ঘুরেও
আসলে আর আমার মা তোমার জন্য খিচুরি রেখেছে খেয়েও আসলে।
আকাশ: বেশ চল।
দ্বিতীয় দৃস্য
নাদিমদের ঘরে নাদিম আর
আকাশের প্রবেশ।
নাদিমের মা: আরে আকাশ,
অনেক দিন পরে আসলে কি খবর? কেমন আছ?
আকাশ: জি আন্টি ভাল।
আপনি কেমন?
নাদিমের মা: ভাল।
তোমার মা, বাবার শরীরটা ভালতো?
আকাশ: জি আন্টি। সবাই
ভাল আছে।
নাদিমের মা: এত দিন আস
নাই যে?
আকাশ: আন্টি পরিক্ষা
চলছিলতো তাই।
নাদিমের মা: আমরাতো
তোমার চোখের ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছি। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।
আকাশ: আন্টি আপনিও
কবিরাজ বিশ্বাস করেন?
নাদিম: দেখলা মা, আকাশ
মানুষকে কতটা অবিশ্বাস করে।
নাদিমের মা: না আকাশ,
এতটা অবিশ্বাস করলে দুনিয়াতে বাঁচা যাবে না। দুনিয়াতে বাঁচতে হলে মানুষকে বিশ্বাস
করতেই হবে। আর আমরাতো আছিই না? তোমার এত চিন্তা করার কিছু নাই।
নুপুরের প্রবেশ।
নুপুর: কি রে
আকাইশ্শা, তুই এত দিন কি শশুর বাড়িতে গিয়েছিলি?
নাদিম: না আপু, ও এত
দিন plan করছিল প্রধানমন্ত্রী হলে ও কি করবে।
নুপুর: তাই নাকি আকাশ?
আকাশ: আরে আপু নাদিমের
সাথে আপনিও কি বোকা হয়েগেলেন? আপনি জানেন না, বাংলাদেশে ছেলেদের প্রধানমন্ত্রী
হওয়ার সুযুগ নেই বরং আমার পার্টির প্রধান হিসেবে আপনাকে মননয়ন দিতে পারি।
নুপুর: থাক ভাই, তুমি
ওই মননয়নটা তোমার বৌকেই দিও।
আকাশ: হু, তারপর দেখা
যাবে আমার বৌ আমাকে ক্ষুন করে নাদিমের সাথে চলেগেছে।
নাদিম: তো চলেগেলে
গেল। তোমার বৌতো আমারো বৌ। তার প্রতি তোমার যেমন অধিকার আছে তেমনি আমারো আছে।
আকাশ: এ জন্যই তোমার
আগে আমি বিয়ে করছি না।
নাদিম: আমার বৌতো
তোমার ভাবিই হবে।
নুপুর: এই ফাজিলেরা বড়
আপুর সামনে এ সব কি বলছ?
নাদিম: কেন আপু তুমি
কি আমাদের সামনে দুলাভাইয়ের সাথে কথা বলবে না?
আকাশ: আরে বোঝনা
নিজেরটার সময় বড় আর ছোট নেই, শুধু আমরা কিছু করতে গেলেই তোমরা এখনো ছোট, বড়দের
সামনে এ সব কি, ইত্যাদি, ইত্যাদি।
নুপুর: দাড়া ফোনটা আগে
receive
করে আসি তারপর দেখাচ্ছি মজা।
আকাশ: জান, জান, হবু
দুলাভাইয়ের ফোন। আমাদের সাথে কথা বলে আর পোশবে না।
মাছুমের প্রবেশ।
নাদিম: আরে কাকা,
আমিতো এখনি আপনার কাছে যেতাম। আসেন, বসেন। আপনি এসেছেন ভালই হল। মা, আকাশকে আর
কাকাকে খেতে দাও। খেতে খেতেই কথা বলি।
আকাশ: খাবার দিতে বললে
আমাদেরকে কিন্তু খেতে খেতে কথা বলবে তুমি, এটা কি করে সম্ভব?
মাছুম: নাদিম উনি?
নাদিম: ও আকাশ।
মাছুম: ও তুমি ওর কথাই
বলেছিলে। তাই না?
নাদিম: হ্যা।
মাছুম: দেখি বাবা,
তোমার গ্লাসটা খুলতো।
আকাশ সানগ্লাস খুলে:
এইতো দেখেন।
মাছুম: তোমার চোখ
কিভাবে নষ্ট হয়েছে?
আকাশ: টাইফয়েডে।
মাছুম: কত বছর বয়সে?
আকাশ: আমার যখন আড়াই
বছর, তখন।
মাছুম: হাইরে, আল্লাহর
খেলা বোঝা বড় দায়। কত সুন্দর একটি ছেলে, নাখ, মুখ আর হাত পা সবি ঠিক কিন্তু আসল
জিনিসটাই নিয়েগেছে। এমন জীবন থাকা আর না থাকা সমান কথা।
আকাশ: আমার কাছে
কিন্তু কখনই মনে হয় না যে দৃষ্টিই জীবনের সব কিছু।
মাছুম: মনে কষ্ট পেও
না বাবা, আমাদের সমাজে দৃষ্টি ছাড়া মানুষের কোনো মুল্য নেই।
আকাশ: সমাজতো মানুষেরই
তৈরী। আমি সে সমাজকে পাল্টাব।
মাছুম: তবে আমার কাছে
তোমার চোখের চিকিৎসা আছে।
আকাশ: নাদিমের কাছে
শুনেছি।
নাদিম: কাকা, সন্ধ্যার
পরে চলেন আকাশদের বাড়িতে। আকাশের মা আপনার সাথে কথা বলতে চায়।
মাছুম: কথা বলে কি
হবে। এত টাকা ওরা দিতে পারবে না আর আকাশের মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে যে ও এ সব বিশ্বাস
করে না। কি ঠিক বললাম আমি?
আকাশ ইতস্ততভাবে: জি,
মানে! আসলে তা না।
মাছুম: মিথ্যা বলো না।
কেউ মিথ্যা বললে আমি বোঝতে পারি।
আকাশ: আসলে আমি বহু
মানুষের কাছ থেকে প্রতারনা পেয়েছিতো তাই।
মাছুম: তাদের কেউ কি
কুরআনের হাফেজ ছিল?
আকাশ: না।
মাছুম: একবার কুরআনকে
বিশ্বাস করে দেখ।
আকাশ: কুরআনের প্রতি
আমার পুরোপুরি বিশ্বাস আছে। কিন্তু মানুষ জিনের মাধ্যমে চিকিৎসা করে, এটা যেন কেমন
বিষয়।