About Me:

I am Md. Muklesur Rahman. I am a blind but able to do all. I want to do many thing for the blind people so that they can contribute for the world. To do this I need help from all and expect some help from the visitors of my blog. You can donate, advice whatever you want. If you are more interested about me, you can read my own novels, poems and stories from this site.dddddddddddddddddddddd but

Take Preparation for B.C.S Bengali Literature

কি বন্ধুরা তোমরা কি আহসান হাবিবের কথা মনে করতে পারো?
হ্যা, আমি তোমাদের সেই চীর চেনা কবিতার লেখক আহসান হাবিবের কথায় বলছি। মনারে মনা কোথা যাস?
তবে আজ আমি মনারে মনা কবিতা নিয়ে কিছুই বলবো না। বরং বিসিএসে আহসান হাবিবের যে বিষয়গোলো থাকতে পারে বলে মনে করছি ঠিক সেগুলোই বলার চেষ্টা করবো।



আহসান হাবীব ১৯১৭ থেকে ১৯৮৫ (কবি)

জন্ম ও শিক্ষাজীবন


আহসান হাবীবের জন্ম ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি পিরোজপুরের শংকরপাশা গ্রামে ৷ পিতার নাম হামিজুদ্দীন হাওলাদার। মাতা জমিলা খাতুন। তাঁর পাঁচ ভাই ও চার বোন ৷ অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল পিতা- মাতার প্রথম সন্তান তিনি ৷ পারিবারিকভাবে আহসান হাবীব সাহিত্য সংস্কৃতির আবহের মধ্যে বড় হয়েছেন। সেই সূত্রে বাল্যকাল থেকেই লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। সেইসময় তাঁর বাড়িতে ছিল আধুনিক সাহিত্যের বইপত্র ও কিছু পুঁথি। যেমন আনোয়ারা, মনোয়ারা, মিলন মন্দির প্রভৃতি ৷ এসব পড়তে পড়তে একসময় নিজেই কিছু লেখার তাগিদ অনুভব করেন। সাহিত্যের অনুকূল পরিবেশ নিয়ে পিরোজপুর গভর্নমেন্ট স্কুল থেকে ১৯৩৫ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি চলে আসেন বরিশালে৷ ভর্তি হন সেখানকার বিখ্যাত বিএম কলেজে৷ কিন্তু অর্থনৈতিক সংকটের কারণে কলেজের পড়াশোনার পাঠ শেষ পর্যন্ত অসমাপ্ত রাখতে হয় তাঁকে। বিএম কলেজে দেড় বছর পড়ার পর ১৯৩৬ সালের শেষার্ধে কাজের খোঁজে তিনি রাজধানী কলকাতায় পাড়ি জমান৷ এভাবেই কবি আহসান হাবীবের বরিশাল থেকে তৎকালীন রাজধানী কলকাতায় পদার্পণ।
কর্ম ও ব্যক্তিগত জীবন


আহসান হাবীব ১৯৪৭ সালের ২১ জুন বিয়ে করেন বগুড়া শহরের কাটনারপাড়া নিবাসী মহসীন আলী মিয়ার কন্যা সুফিয়া খাতুনকে। আহসান হাবীব দুই কন্যা (কেয়া চৌধুরী ও জোহরা নাসরীন) ও দুই পুত্রের (মঈনুল আহসান সাবের ও মনজুরুল আহসান জাবের) জনক ছিলেন। পুত্র মঈনুল আহসান সাবের একজন স্বনামখ্যাত বাংলা ঔপন্যাসিক।
১২/১৩ বছর বয়সে স্কুলে পড়ার সময়ই ১৯৩৩ সালে স্কুল ম্যাগাজিনে তাঁর একটি প্রবন্ধ ধরম প্রকাশিত হয় ৷ ১৯৩৪ সালে তাঁর প্রথম কবিতা মায়ের কবর পাড়ে কিশোর পিরোজপুর গভর্নমেন্ট স্কুল ম্যাগাজিনে ছাপা হয় ৷ পরবর্তী সময়ে ছাত্রাবস্থায় কলকাতার কয়েকটি সাহিত্য পত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হলে নিজের সম্পর্কে আস্থা বেড়ে যায়। স্কুলে পড়াকালীন তিনি প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তুকে কবিতায় উপস্থাপিত করে পুরস্কৃত হয়েছিলেন। ততদিনে অবশ্য দেশ, মোহাম্মদী, বিচিত্রার মতো নামি দামী পত্রপত্রিকায় তাঁর বেশ কিছু লেখা প্রকাশিত হয়ে গেছে ৷ কলকাতা গিয়ে শুরু হয় আহসান হাবীবের সংগ্রামমুখর জীবনের পথচলা৷ তিনি কলকাতায় এসে ১৯৩৭ সালে দৈনিক তকবির পত্রিকার সহ-সম্পাদকের কাজে নিযুক্ত হন । [২] বেতন মাত্র ১৭ টাকা৷ পরবর্তীকালে তিনি ১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত কলকাতার বুলবুল পত্রিকা ও ১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত মাসিক সওগাত পত্রিকায় কাজ করেন ৷ এছাড়া তিনি আকাশবাণীতে কলকাতা কেন্দ্রের স্টাফ আর্টিস্ট পদে ১৯৪৩ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত কাজ করেন ৷

মৃত্যু


১৯৮৫ সালের ১০ জুলাই আহসান হাবীব মৃত্যুবরণ করেন।
রচনাবলি

কাব্যগ্রন্থ, বড়দের উপন্যাস, গল্প, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, ছোটদের ছড়া ও কবিতার বই সব মিলিয়ে আহসান হাবীবের বইয়ের সংখ্যা ২৫টি।
কবিতা

রাত্রিশেষ (১৯৪৮)
ছায়াহরিণ (১৯৬২)
সারা দুপুর (১৯৬৪)
আশায় বসতি (১৯৭৪)
মেঘ বলে চৈত্রে যাবো (১৯৭৬)
দু'হাতে দুই আদিম পাথর (১৯৮০)
প্রেমের কবিতা (১৯৮১)
বিদীর্ণ দর্পণে মুখ (১৯৮৫)

আহসান হাবিবের কবিতা সহজে মনে রাখার উপাই:
ছায়াহরিণ দু'হাতে দুই আদিম পাথর  নিয়ে সারা দুপুর প্রেমের কবিতা লিখল। রাত্রিশেষে তার বিদীর্ণ দর্পণে মুখ আশায় বসতি করে মেঘ বলে চৈত্রে যাবো

উপন্যাস

রাণী খালের সাঁকো (১৯৬৫)
আরণ্য নীলিমা (১৯৬২)
জাফরানী রং পায়রা

শিশু সাহিত্য[সম্পাদনা]

জোছনা রাতের গল্প
ছুটির দিন দুপুরে
বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর
রেলগাড়ি ঝমামমে
রাণীখালের সাঁকো
জোৎসনা রাতের গল্প
ছোট মামা দি গ্রেট
পাখিরা ফিরে আসে
রত্নদ্বীপ ( ট্রেজার আইল্যান্ডর সংক্ষিপ্ত অনুবাদ )
হাজীবাবা
প্রবাল দ্বীপে অভিযান ( কোরাল আইল্যান্ডর সংক্ষিপ্ত অনুবাদ )[৩]
সম্পাদিত গ্রন্থ
কাব্যলোক
বিদেশের সেরা গল্প
পুরস্কার

ইউনেস্কো সাহিত্য পুরস্কার ও একাডেমি পুরস্কার (১৯৬১)
আদমজী পুরস্কার (১৯৬৪)
নাসিরউদ্দীন স্বর্ণপদক (১৯৭৭)
একুশে পদক (১৯৭৮)
আবুল মনসুর আহমদ স্মৃতি পুরস্কার (১৯৮০)
স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার
বাংলা একাডেমি পুরস্কার

আহসান হাবিব সমন্ধে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর:


১। আহসান হাবিবের জন্ম কত সালে?
১৯১৭ সালে।
২। আহসান হাবিবের জন্ম কত তারিখে?
২রা জানুয়ারি।
৩। আহসান হাবিবের ভাই বোনের সংখ্যা  কত?
৫ ভাই ও ৪ বোন।
৪। কোন কবির জন্ম স্থান পিরুজপুরের সংকরপাশা গ্রামে?
আহসান হাবিবের।
৫। হামিজুদ্ধিন হাওলাদার কোন সাহিত্যিকের পিতা ছিলেন?
আহসান হাবিব।
৬। আহসান হাবিবের মাতার নাম কি?
জমিলা খাতুন।
৭। আহসান হাবিব কত সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশ নেন?
১৯৩৫ সালে।
৮। কত সালে আহসান হাবিব বিয়ে করেন?
১৯৪৭ সালে।
৯। আহসান হাবিবের স্ত্রীর নাম কি?
সুফিয়া খাতুন।
১০। আহসান হাবিবের শ্বশুরবাড়ি কোন জেলায়?
বগুরা জেলায়
১১। আহসান হাবিবের ছেলে মেয়ে কত জন?
২ ছেলে ও ২ মেয়ে।
১২। মঈনুল আহসান সাবের কে ছিলেন?
একজন স্বনামখ্যাত বাংলা ঔপন্যাসিক এবং আহসান হাবিবের ছেলে।
১৩। আহসান হাবিবের প্রকাশিত ১ম কবিতা কোনটি?
মায়ের কবর পাড়ে ১৯৩৪।
১৪। কোন পত্রিকায় আহসান হাবিব সহ সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন?
দৈনিক তকবির ১৯৩৭ সালে।
১৫। দৈনিক তকবির পত্রিকা ছাড়া আর কোন পত্রিকায় আহসান হাবিব কাজ করেন?
বুলবুল ও সৌগাত পত্রিকায়
১৬। আহসান হাবিবের মৃত্যু তারিখ কত?
১০ জুলাই।
১৭। আহসান হাবিবের রচিত গ্রন্থ কত?
২৫টি।
১৮। মেঘ বলে চৈত্রে যাব কোন ধরনের রচনা?
কাব্য গ্রন্থ।
১৯। রাণী খালের সাঁকো, আরণ্য নীলিমা ও জাফরানী রং পায়রা আহসান হাবিবের কি ধরনের রচনা?
উপন্যাস।
২০। বিদীর্ণ দর্পণে মুখ ও প্রেমের কবিতা আহসান হাবিবের কি ধরনের গ্রন্থ?
কাব্য গ্রন্থ।

Share this article :

Post a Comment

 
Support : Creating Website | Johny Template | Mas Template
Copyright © 2011. bangladeshiblindwriter - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Mas Template
Proudly powered by Blogger